শনিবার, ২৫ জুন, ২০১১

শিল্পের কোনো প্রগতি নেই, আছে কেবল পরিবর্তন - আরনেস্টো সাবাতো

এ বছর আর্জেন্টিনাইন লেখক আরনেস্টো সাবাতোর জন্মের শতবার্ষিকী। জন্ম ২৪ জুন ১৯১১।যদিও মৃত্যুও এবছরই। যা হোক তার জন্মশতবার্ষিকী স্মরণে এ আয়োজন।
সাক্ষাত্কারটি ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছেন মিলটন মোললা
প্রশ্ন : আপনি একজন পেশাদার বিজ্ঞানী। ‘মেন অ্যান্ড গিয়ারস’ শিরোনামে একগুচ্ছ প্রবন্ধ আছে আপনার। ১৯৫১ সালে লেখা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বৈরী আঘাতে মানুষের বিমানবীকরণের অশুভ পরিণতি নিয়ে কথা বলেছেন আপনি। একজন বিজ্ঞানী হওয়া সত্ত্বেও এভাবে ভাবতে পারলেন কীভাবে?
আরনেস্টো সাবাতো : পদার্থবিদ্যা এবং গণিত নিয়ে পড়াশোনা করেছি আমি। এদের বলা চলে জাগতিক বিশৃঙ্খলা থেকে আমার বিমূর্ত আশ্রয়। কিন্তু শিগগিরই আমি উপলব্ধি করলাম, বিশুদ্ধ চিন্তার ওপর ‘অন্ধবিশ্বাসী’ কতিপয় বিজ্ঞানী দুর্ভাগ্যবশত উপেক্ষা করছেন অবচেতন কিংবা পুরাণের মতো জরুরি বিষয়। অথচ এসবের মধ্যেই নিহিত সব সৃষ্টির আদি রহস্য। এটাই মানুষের ‘অবগুণ্ঠিত’ প্রকৃতি। আমার শুদ্ধতম বৈজ্ঞানিক চিন্তার ক্ষেত্রে ‘মিসিং লিংক’গুলো জোড়া দিতে আমাকে সাহায্য করল জার্মান রোমান্টিসিজম, অস্তিত্ববাদ এবং পরাবাস্তববাদ। মনে হল, সম্পূর্ণ মানুষ হয়ে উঠতে চাইলে প্রত্যেক ড. জেকিলের প্রয়োজন একজন মি. হাইড। এরপরই লগারিদম আর জ্যামিতির জটিল নকশা থেকে মুখ তুলে মানুষের মুখের পানে তাকালাম। আর কখনও ফিরিয়ে নিইনি সে মুখ।
প্রশ্ন : এ সময়ের অনেক লেখক অবশ্য বিজ্ঞান এবং সৃজনশীলতাকে এক টেবিলে আনার চেষ্টা...
সাবাতো : হতে পারে। কিন্তু আমি মনে করি, আমাদের যুগটা চিহ্নিত হয়ে থাকবে বিজ্ঞান এবং মানবিকতার মধ্যে বিরোধিতার যুগ হিসেবে। ঊনবিংশ শতকে বিজ্ঞান এবং প্রগতির দুর্নিবার অভিযানের পরিণতিতে মানুষ নিজেকে একপর্যায়ে আবিষ্কার করে তারই উদ্ভাবিত বিশাল যন্ত্রের নগণ্য এক উপকরণ হিসেবে। আজকের দুনিয়ায়, ব্যক্তি হারিয়ে গেছে জনতার ভিড়ে।
প্রশ্ন : কিন্তু হেগেলের যুক্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ওই শতকেই আবির্ভূত হয়েছিলেন কিয়ের্কেগার্দ। তার সম্পর্কে বিস্তর কাজও করেছেন আপনি।
সাবাতো : কিয়ের্কেগার্দ পৃথিবীর প্রথম চিন্তাবিদ যিনি প্রশ্ন করেছেন, বিজ্ঞান জীবনের চাইতে জরুরি কি না এবং তার উত্তরও নিজেই দিয়েছেন-প্রথমে জীবন। তার চিন্তার পথ ধরে বিশ শতকের অস্তিত্ববাদী কার্ল জেসপার এবং মার্টিন হাইডেগার বলেন, মানুষ ‘বিচ্ছিন্ন’ সত্তা মাত্র নয়, এই মহাসৃষ্টির কেন্দ্র। মৃত্যু যার নিয়তি। যার থেকে উত্সারিত সব বেদনা আর আধ্যাত্মিকতা।
প্রশ্ন : কিন্তু এই তো একমাত্র নয়...
সাবাতো : নিশ্চয়ই নয়। দস্তয়ভস্কির ‘নোটস ফ্রম দি আন্ডারগ্রাউন্ড’ উপন্যাসে তিনি তীব্রভাবে বিলুপ্তি কামনা করেছেন আধুনিকতা আর প্রগতির পূজার।
প্রশ্ন : বর্তমানে আমরা সাহিত্যের মধ্যে...
সাবাতো : হ্যাঁ, এর কারণ দর্শন কিংবা প্রবন্ধের চেয়ে একটি উপন্যাস অনেক গভীরভাবে ব্যাখ্যা করতে সক্ষম মানুষের অনিশ্চয়তা, নিয়তি আর জীবনের অর্থ। ধারণা নয়, চিন্তার জাদুকরী বৈশিষ্ট্য কিংবা পুরাণ আর প্রতীকের মাধ্যমে এই সবকিছু ব্যাখ্যা করে উপন্যাস।
প্রশ্ন : এভাবে কি বাস্তবতাকে ব্যাখ্যা করে সাহিত্য?
সাবাতো : সৌভাগ্যক্রমে শিল্প এবং সাহিত্য কখনও কল্পনা থেকে যুক্তি, বুদ্ধি থেকে আবেগ এবং বাস্তবতা থেকে স্বপ্নকে পৃথক করে দেখে না। স্বপ্ন, পুরাণ এবং শিল্পকলার অভিন্ন উত্স থাকে মানুষের অবচেতনে। এমন এক পৃথিবী উন্মোচন করে তারা যা অন্য কোনোভাবে সম্ভব নয়। শিল্পীকে তার শিল্পকর্ম ব্যাখ্যা করতে বলাটা অর্থহীন। এ কী কল্পনা করা সম্ভব যে, বেটোভেন তার সিম্ফনিগুলো বিশ্লেষণ করছেন, কিংবা কাফকা উপলব্ধির চেষ্টা করছেন ‘দ্য ট্রায়াল’ গল্পে তিনি মূলত কী বলতে চেয়েছেন।
প্রশ্ন : বর্তমান যুগটিকে আপনি মনে করেন আধুনিক চিন্তার সর্বশেষ ধাপ।
সাবাতো : চিন্তার মূল ধারার সঙ্গে সাহিত্যকে গুলিয়ে ফেলা অনুচিত হবে। মুক্তচিন্তার বিস্তৃত পৃথিবীতে কখনও সামনে, কখনও পিছিয়ে আসতে হয়েছে। অবশ্য এটা স্পষ্ট, এ মুহূর্তে আমরা এক যুগপতনের সাক্ষী। সভ্যতার এমন এক সঙ্ঘাতকাল অতিক্রম করছি আমরা, যেখানে প্রেম এবং জ্ঞান, কিংবা আনন্দ আর বেদনার মাঝে বিরাজ করছে চিরকালীন বিরোধ।
প্রশ্ন : এ সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব?
সাবাতো : এ থেকে মুক্তির একমাত্র পথ দুর্ভোগের মধ্যে বসবাসকারী যান্ত্রিক নিষ্পেশনের শিকার মানুষকে যন্ত্র থেকে বিযুক্ত করা। কিন্তু মনে রাখতে হবে, একটা যুগ ওই সময়ের সব মানুষের জন্য একই সময়ে মৃত্যুবরণ করে না। ঊনবিংশ শতকে প্রগতির বিজয়ঝাণ্ডা যখন পতপত করছে দিকে দিকে, ততদিনে কিন্তু সাময়িকতা হারিয়ে বসে আছেন দস্তয়ভস্কি, কিয়ের্কেগার্দ কিংবা নীেস। নতুন সময়ের সঙ্কট চিত্রিত করতে ততদিনে হাজির হয়েছেন কাফকা, সার্ত্রে এবং কাম্যুর মতো একঝাঁক নতুন লেখক।
প্রশ্ন : এ কারণে কি আপনি শিল্পে ‘প্রগতি’র ধারণাকে খারিজ করে দেন?
সাবাতো : স্বপ্ন যতটুকু প্রগতি নিশ্চিত করে তার চেয়ে বেশি কিছু করতে পারে না শিল্প। বাইবেলের নবীর চেয়ে আমাদের দুঃস্বপ্নগুলো কি কম ভয়ঙ্কর? আমরা এ কথা বলতে পারি, আইনস্টাইনের গণিত আর্কিমিডিসের গণিতের চেয়ে উচ্চতর, কিন্তু আমরা কি একবারও বলতে পারি, হোমারের অডেসির চেয়ে মহত্ উপন্যাস জয়েসের ইউলিসিস? প্রুস্ত-এর এক চরিত্র একবার দাবি করে বসল, বেটোভেনের চেয়ে দেবুসি উত্তম সঙ্গীতজ্ঞ শুধু এ কারণে যে তিনি পরবর্তী প্রজন্মের প্রতিনিধি। প্রত্যেক শিল্পী চায় ‘পরম’ র্স্পশ করতে। তা সে দ্বিতীয় রামেসেস যুগের কোনো ভাস্কর হোক, কিংবা ধ্রুপদী যুগের কোনো গ্রিক শিল্পী হোক। এ কারণে দেখা যায়, শিল্পে কোনো প্রগতি নেই, আছে কেবল পরিবর্তন। অন্তত একটা বিষয় নিশ্চিত, শুধু পরবর্তীতে জন্মানোর কারণে কোনো শিল্পী অন্য কারও তুলনায় মহত্ হয়ে ওঠে না।
প্রশ্ন : অর্থাত্ আপনি সার্বজনীন নন্দনতত্ত্ব বলে কিছু বিশ্বাস করেন না?
সাবাতো : ইতিহাসের আপেক্ষিকতা প্রতিফলিত হয় নন্দনতত্ত্বে। প্রত্যেক যুগের একটি প্রধান মূল্যবোধ থাকে-ধর্মীয়, অর্থনৈতিক কিংবা আধ্যাত্মিক। ইতিহাস আমাদের দেখিয়েছে সুন্দর আর সত্য এক যুগ থেকে অন্য যুগে বদলে বদলে যায়। লেখক, শিল্পী কিংবা সংগীতজ্ঞের খ্যাতি স্রেফ পেন্ডুলামের দোলকের মতো।
প্রশ্ন : সে ক্ষেত্রে, এক সংস্কৃতি কখনও অন্য সংস্কৃতির ওপর নিজের শ্রেষ্ঠত্ব দাবি করতে পারে না।
সাবাতো : সঙ্কীর্ণ দখলদারিত্বের মানসিকতা অনেক পেছেনে ফেলে এসেছি আমরা। লেভি ব্রুহল বলেন, জাদু বাস্তবতা থেকে যুক্তিবাদী চিন্তনের মধ্যে তিনি কোনো পার্থক্য খুঁজে পান না। মানুষের মধ্যেই সহাবস্থান করে এ দুটি বিষয়। প্রতিটি সংস্কৃতির প্রাপ্য মর্যাদা রয়েছে।
প্রশ্ন : আজকাল স্কুলে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাদান পদ্ধতি নিয়ে আপনার মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে? এখানে কী করার আছে?
সাবাতো : যখন আমি ছোট ছিলাম, আমাকে গাদাগাদা তথ্য মুখস্থ করতে হত। অবধারিত যা আমি ভুলে যেতাম একসময়। আমি এখনও কোনোমতে মনে করতে পারি শুধু কেপ অব গুড হোপ এবং কেপ হর্নের কথা। তাও সম্ভবত এ কারণে যে, নাম দুটি প্রায়ই সংবাদপত্রে হাজির হয়। কে যেন বলেছিল একবার, সবকিছু হারিয়ে যাওয়ার পরও তোমার যা অবশিষ্ট আছে তাই তোমার সংস্কৃতি। শিক্ষার অর্থ অংশগ্রহণ, আবিষ্কার এবং উদ্ভাবন। সামনে এগিয়ে যেতে চাইলে মানুষকে নিজের মতামত তৈরি করতে হবে। কখনও এর অর্থ হতে পারে ভুল করা এবং পুনরায় গোড়া থেকে শুরু করা। নতুন পথ আবিষ্কার করতে হবে। নতুন পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। গ্রন্থ এক চমত্কার মাধ্যম। তবে দেখতে হবে তা যেন আমাদের নিজস্বতাকে ব্যাহত না করে।
প্রশ্ন : শিক্ষকের ভূমিকা কীভাবে দেখেন আপনি?
সাবাতো : বুত্পত্তিগত অর্থে, শিক্ষা অর্থ উন্নয়ন। যা আছে ভ্রুণ অবস্থায় তাকে বিকশিত করা। সম্ভাবনাকে উপলব্ধি করা। শিক্ষার্থীকে প্রশ্ন করা শিখতে হবে। নিজের অজ্ঞতা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে তার। প্রশ্ন উত্থাপনের পাশাপাশি নিজের চিন্তা প্রক্রিয়াকে সক্রিয় রাখতে হবে। দ্বিমত হয়, হোক। তাদের জন্য ভুল করার কাজটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একমাত্র তখনই তারা উপলব্ধি করবে, আমাদের জ্ঞানের দ্বারা সীমিত পৃথিবীর বাইরে রয়ে গেছে অব্যাখ্যাত অনেক রহস্য। বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড নিজেই এক শেষহীন রহস্যের আধার। কান্ট যেমন বলেছেন, মানুষকে দর্শন শিক্ষা দিতে হবে না। তাকে দার্শনিক প্রক্রিয়ায় চিন্তা করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
প্রশ্ন : নির্দিষ্ট কোনো উদাহরণ...
সাবাতো : অনেক দিন আগে প্যাটাগোনিয়াতে জিপে করে এক বনের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। আমার সঙ্গে ছিলেন এক বন কর্মকর্তা। আমাকে তিনি বনের ধ্বংস প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলছিলেন। একসময় জানালেন, সাইপ্রেস গাছের কথা। বনের প্রান্তসীমায় বেড়ে ওঠা এসব গাছ নিজেকে পোড়াতে দীর্ঘ সময় নিয়ে অন্য গাছ রক্ষা করে। এমন চমকপ্রদ একটি তথ্য জেনে মুগ্ধ হলাম আমি। ভূগোল মুখস্থ করি আমরা। অথচ জাতিসত্তা কিংবা ভূ-প্রকৃতি সম্পর্কে কী চমত্কার ছবি আঁকা আছে জুল ভার্নের ‘অ্যারাউন্ড দি ওয়ার্ল্ড ইন এইট্টি ডেজ’ গল্পে। বিশ্বকে দেখতে হবে বিস্ময়ের চোখে। বিশ্বের সবকিছুই বিস্ময়কর। নিত্যপরিচিতির ভিড়ে আমরা হারিয়ে ফেলেছি আমাদের বিস্মিত হওয়ার ক্ষমতা।
প্রশ্ন : আপনি বলেন, বর্তমান থেকে শুরু করে অতীতের উদ্দেশে যাত্রার প্রক্রিয়ায় শিক্ষা দিতে হবে...
সাবাতো : আমার মনে হয়, তরুণ শিক্ষার্থীদের পড়ার প্রতি আকর্ষণ বাড়ানোর শ্রেষ্ঠ পদ্ধতি সমসাময়িক লেখকের বই পড়ার সুযোগ করে দেওয়া। কারণ তারাই প্রকৃত ধারণ করেন এসব শিশুর আশা এবং আশঙ্কা। পরবর্তীতে তারা জানার চেষ্টা করবে ভালোবাসা কিংবা মৃত্যু, আশা আর হতাশা কিংবা বীরত্ব আর একাকিত্ব নিয়ে কী লেখে গেছেন হোমার কিংবা সারভান্তেস। আরেকটি ভুল হচ্ছে, সবকিছু শেখানোর প্রয়াস। অল্প কিছু ঘটনা, অল্প কিছু বক্তব্যই যথেষ্ট। তবে তার মধ্যে থাকতে হবে তীব্র আবেগ। পড়া তখনই আনন্দময় যখন তা পাঠকের হূদয় বীণায় টঙ্কার তুলতে সক্ষম হয়। তোলে। পড়াটা যেন এমন না হয়, যেন সারি সারি কবরের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি, প্রাণ নেই একবিন্দু! এমন ভাবার কারণ নেই যে, গুটেনবার্গের আগে পৃথিবীতে সংস্কৃতি বলে কোনো ব্যাপার ছিল না।
প্রশ্ন : দীর্ঘদিন ধরেই আপনি বলে আসছেন পারমাণবিক অস্ত্রের সর্বনাশা বিপদের কথা। হিসাবের খাতায় আপনি কি কোনো অর্জন দেখতে পান না?
সাবাতো : প্রথমত, পারমাণবিক শক্তির বিস্তার আজ এক অবধারিত বাস্তব। অনেক দেশই আজ পারমাণবিক ক্ষুদে শক্তিধর। সব ধরনের প্রতিবাদী জনতার মধ্যে আমি এর প্রভাব দেখতে পাই। আজকের পৃথিবীতে মানুষের সমস্যা প্রধানত দার্শনিক, সামরিক নয়। আমি এমন একসময়ের সন্তান, ধ্বংসের মধ্যেই যার পরিণতি। শিল্প, সংলাপ, স্বাধীনতা আর ব্যক্তিমানুষের মর্যাদায় বিশ্বাস করি আমি। এসব কথায় কে গুরুত্ব দেয়। অপমানের স্থান দখল করেছে সংলাপ, রাজনৈতিক বন্দিত্বের স্থানে এসেছে স্বাধীনতা। রাষ্ট্র যদি পুলিশি হয়, সেটা ডানপন্থী নাকি বামপন্থী তাতে কী আসে যায়? ভালো নির্যাতন আর মন্দ নির্যাতন বলে কোনো বিষয় থাকতে পারে না। আমাকে প্রতিক্রিয়াশীল বলা যেতেই পারে, কেননা আমি এখনও বিশ্বাস করি মধ্যযুগীয় গণতন্ত্রে, যা অন্তত মানুষের নিশ্চিত করে মুক্তচিন্তার স্বাধীনতা। যার মধ্যে নির্মিত হয় সুন্দর আগামীর পথ।