সোমবার, ১৬ মে, ২০১১

আমার বিশ্বাসের জায়গা থেকে আমি ছবি নির্মাণ করি - চিত্রনির্মাতা আববাস কিয়ারসতামি

চিত্রনির্মাতা আববাস কিয়ারসতামির সাক্ষাৎকার

আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাত চিত্রনির্মাতা আববাস কিয়ারসতামির জন্ম ইরানের তেহরানে ১৯৪০ সালে। ইরানের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ফাইন আর্টসে গ্র্যাজুয়েশন করার পর গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিরিশ বছয় বয়সে সেন্টার ফর ইন্টেলেকচুয়াল ডেভেলপমেন্ট অব চিল্ড্রেন অ্যান্ড অ্যাডাল্টসের ফিল্ম সেকশানে যোগদান করেন এবং তখন থেকেই চিত্রনির্মাতা হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটতে থাকে। সেখানে বেশ কিছু শিশুতোষ এবং ডকুমেন্টারি নির্মাণের পর ১৯৭৩ সালে নির্মাণ করেন পূর্ণ দৈর্ঘ্য ছবি ‘দ্য এক্সপেরিয়েন্স’। এরপর একে একে দ্য ট্র্যাভেলার, দ্য ওয়েডিং স্যুট, দ্য রিপোর্ট, ওয়ের ইজ দ্য ফ্রেন্স হোম, হোমওয়ার্ক, ক্লোজ আপ, অ্যান্ড লাইফ গোজ অন, থ্রু দ্য অলিভ ট্রিজ এবং তার অন্যতম অনবদ্য ছবি ‘টেস্ট অব এ চেরি’সহ আরো অনেক ছবি নির্মাণ করেন। ১৯৮৩ সালে কান ফিল্ম ফেস্টিভালের জুরি মেম্বার হিসেবে তাকে নির্বাচিত করা হয়। ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভেলে ১৯৯৫ সালে জুরি হিসেবে ছিলেন। লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্টের জন্য তাকে ২০০৫-এ ইয়েরেভেন ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভেলে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। চিত্র নির্মাতা হিসেবে অবদানের জন্য ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউট থেকে ফেলো হিসেবে সম্মাননা প্রদান করে। সম্প্রতি ২০১০-এর ৯ মার্চ তেহরানের একটি পত্রিকায় সরকারের কাছে চিঠির মাধ্যমে ইরানের স্বতন্ত্র ধারার দু’জন বিশিষ্ট চিত্রপরিচালক জাফার পানাহি এবং মোহাম্মদ রোজুউলফের কারাবন্দি মুক্তির জন্যে আবেদন করেন। সে আবেদনের সাড়ায় পরবর্তিতে তারা মুক্তিলাভ করেন। সেই কিংবদন্তি পরিচালকের একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার সংক্ষেপিত আকারে উপস্থাপন করা হলো। বিষয়ভিত্তিতে তিনি সাক্ষাৎকারে তার নিজের কথা বলে গেছেন।

সেন্সরশিপ প্রসঙ্গে : আমার ছবির ক্ষেত্রে আমি বলতে পারি বিপ্লবের আগে সেন্সরশিপ আমার ছবিতে খুব একটা প্রভাব ফেলত না। কিন্তু এটা সবার ক্ষেত্রে এরকম ঘটতো তা বলা যায় না। আসলে ইরানে ছবির সেন্সরশিপ মূলত ধর্মীয় কারণে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। বিশেষ করে ছবিতে নারীর হিজাব পরিধানের ক্ষেত্রে ইরানে বেশ কড়াকড়ি নিয়ম বা আইন উল্লিখিত আছে। নারীরা হিজাব ছাড়া ছবিতে অভিনয় করতে পারবে না, এমনকি ঢিলেঢালা হিজাবও পরিত্যাজ্য। তাছাড়া নারী-পুরুষের স্পর্শের ব্যাপারেও বিধিনিষেধ আছে। আমাদের নিজেদের অর্থাৎ চিত্রপরিচালকদের মাঝে সেন্সরশিপ নেই তা বলব না, কিন্তু এসব বিধিনিষেধ অবলম্বন করেই আমরা আমাদের ছবি নির্মাণ করি। আর তাই আমি শুধু সেসব ছবিই নির্মাণ করি যেগুলো নির্মাণ করতে চেয়েছি। আমি কখনো স্বামী-স্ত্রী একত্রে একটি অ্যাপার্টমেন্টে বসবাসরত কোনো গল্প নির্বাচন করি না। কারণ আপনি যখন একটি ছবি নির্মাণ করেন তখন আপনাকে সেই ছবির গল্পের প্রতি বিশ্বাস থাকতে হবে। ছবিতে আমরা সাধারণত এক সারি-বাঁধা মিথ্যের মধ্য দিয়ে সত্যে উপনিত হই। যেমন ছবিতে যখন একটি পরিবারের কাহিনী দেখানো হয় তখন বাস্তব কোনো পরিবার উপস্থাপিত হয় না। ভিন্ন ভিন্ন নারী, পুরুষ এবং শিশু অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সমন্বয়ে পরিবার গঠন করা হয়। বাস্তব পরিবারে স্ত্রী তার স্বামীর সামনে হিজাব পরিহিত অবস্থায় থাকে না। কিন্তু ছবির প্রয়োজনে আমাকে তা দেখাতে হয়। আমার ছোটবেলায় আমি কখনো আমার মাকে বাবার সামনে হিজাব পরিহিত অবস্থায় দেখিনি। কাজেই আমি যা দেখিনি তা ছবিতে উপস্থাপন করতে চাই না বলেই আমার ছবিতে সাধারণত এই ধরনের কোনো গল্প রাখি না। আর এই কারণেই হয়তো অবচেতনভাবেই আমি আমার ছবির গল্পের জন্য গ্রাম বেছে নেই।

আমি যখন ইরানের বাইরে যাই বিশেষত পাশ্চাত্যে, তখন আমাকে সেন্সরশিপ সংক্রান্ত নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়, যা আমাকে খুবই বিব্রত করে। পাশ্চাত্যের লোকেরা মনে করে, আমরা যারা তৃতীয় বিশ্বের নির্মাতা তারা কড়া বিধি-নিষেধের সেন্সরশিপের ঘেরাটোপের মধ্য থেকে ছবি নির্মাণ করি। এটা নিয়ে যখন ভাবি তখন আমি অনুধাবন করি, শুধু ছবি নির্মাণের ক্ষেত্রে নয়, আমাদের দেশে সাধারণ নাগরিক হিসেবেও সেন্সরশিপ আরোপিত হয়ে আছে। সেন্সরশিপের যাত্রা শুরু হয় পারিবারিক পরিমন্ডল থেকে। পরিবারিক বিধিনিষেধের কারণে আমার মন যা চায় তা বলতে বা করতে পারি না। কারণ আমার অভিভাবক কোনটা ঠিক আর কোনটা ঠিক না- তা আগে থেকেই নির্ধারণ করে দেন। বিদ্যালয় অধিকতর সেন্সরশিপের একটি জায়গা যেখানে কঠোর শৃঙ্খলা বজায় রেখে চলতে হয় এবং যা আমাদের কর্মক্ষেত্র পর্যন্ত প্রসারিত হতে থাকে। কাজেই আমার মনে হয় না সেন্সরশিপ আমাদের খুব একটা বিব্রত করে বা অসুবিধায় ফেলে, কারণ আমরা আমাদের মতো করে তা সামাল দিতে পারি। বিশেষত নির্মাতা হিসেবে আমরা যত বেশি বিধিনিষেধের মধ্যে পরিবেষ্টিত হই তত বেশি নতুন নতুন পন্থা এবং সমাধানের পথ নিজেরা নিজেদের মতো করে খুঁজে নেই। আমার বাবা বলতেন, তোমার মাথা যদি ভাঙে তবে তা যেন তোমার টুপির ভেতরেই ভাঙে। কাজেই সেন্সরশিপ নিয়ে দেশের বাইরে আমি যতই কথা বলি না কেন তা কখনো কোনো সমাধান এনে দেবে না। আর তাই এই বিষয় নিয়ে দেশের বাইরে আমি কখনো কথা বলি না বা বলতে চাই না, বিশেষত সাংবাদিকদের সঙ্গে। বরং উল্টো তাদের প্রশ্ন করি- ‘তোমাদের নিজেদেরও কী কোনো সেন্সরশিপ নেই?’ তাছাড়া আমাদের সরকার সেন্সরশিপ আরোপের সঙ্গে ছবি নির্মাণের জন্য আর্থিক সহায়তাও প্রদান করে থাকে। ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে সদর্থক দৃষ্টিভঙ্গীর কারণে সেন্সরশিপের ব্যাপারে আমার খুব বেশি অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় না। এর অর্থ এই নয় যে, সেন্সরশিপের পৃষ্ঠপোষকতা করি, আমি তাদের বলি তোমরা তোমাদের কাজ কর, আমরা আমাদেরটা করি। কারণ আমি জানি শেষ পর্যন্ত আমাদের কাজগুলোই (সিনেমা) টিকে থাকবে।

পাশ্চাত্যে সমাদর : দেশের বাইরে বিশেষত পাশ্চাত্যে যখন আমাদের ছবি প্রদর্শিত হয় তখন সে সব বেশ সমাদৃত হয়- যা আমাদের ছবি নির্মাণের ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা যোগায় এবং যখনই আপনার ভেতর অনুপ্রেরণা জন্মাবে আপনি তখন আরও বেশি সাহসী হয়ে উঠবেন, নতুন নতুন ধারণায় উজ্জীবিত হবেন। দেশের ভেতরে আমাদের ছবি খুব বেশি সমাদৃত না হলেও বিদেশে আমাদের ছবি বেশ সমাদৃত। তবে সেই সঙ্গে এটাও ঠিক পাশ্চাত্যের এই পৃষ্ঠপোষকতা আমার ছবির স্টাইল এবং টেকনিকের ক্ষেত্রে খুব বেশি পরিবর্তন আনতে পারেনি। অর্থাৎ যেভাবে পাশ্চাত্য সমালোচকরা আশা করেন সেভাবে ছবি নির্মাণ করা আমার পক্ষে সম্ভব হয় না। কারণ, আমি যখন ছবি নির্মাণ করি তখন গল্পের বিষয়বস্ত্তর ওপর প্রথমে গুরুত্বারোপ করি। আমি মনে করি, ছবির বিষয় ছবির শৈলীকে নির্মাণ করে। শৈলী বিষয়কে নির্মাণ করে না। আরো বিশ্বাস করি, ছবি নির্মাণের এটাই সঠিক পদ্ধতি। পাশ্চাত্য সমালোচকদের বা ফেস্টিভেলের দর্শকদের ইচ্ছানুযায়ী ছবি নির্মাণ করা তাই আমার পক্ষে সম্ভব নয়। প্রত্যেক ছবি তার নিজস্ব প্রয়োজনানুযায়ী নির্মিত হয়।

পরিচালকের শৈলী : আমার ছবির ভালো-মন্দ দিক নিয়ে কথা বলা একটু অসুবিধাজনক, কারণ সেটা আপনারাই ভালো বলতে পারবেন। তবে আমার যা ভালো লাগে না সে বিষয়ে আমার পক্ষে বলাটা তুলনামূলকভাবে সুবিধাজনক। আমার যা ভালো লাগে না তা আপনারা আমার ছবিতে দেখতে পাবেন না। ছবিতে গল্প বলা আমার পছন্দ নয়। কারণ আমি দর্শকদের কোনো ধরনের আবেগাপ্লুত করতে বা উপদেশ দিতে পছন্দ করি না। দর্শককে খাটো করা বা অপরাধবোধে যুক্ত করা আমার ভালো লাগে না। আমি মনে করি সেই ছবি ভালো যার দীর্ঘস্থায়িত্ব আছে। হল থেকে বের হয়ে আসার পর দর্শকরা সেই ছবির বিনির্মাণ করতে থাকবে। এমন অনেক ছবি আছে যা আপাতদৃষ্টিতে ক্লান্তিকর মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে পরিচ্ছন্ন ছবি। অপরদিকে এমন অনেক ছবি আছে যেসব ছবি দর্শককে তীব্রভাবে ধরে রাখে এবং সবকিছু ভুলিয়ে রাখে। কিন্তু ছবি দেখা শেষ হলে পরে দর্শক বুঝতে পারে সে ভীষণভাবে প্রতারিত হয়েছে। এসব ছবি দর্শককে পণবন্দি করে রাখে। এ ধরনের ছবি আমার একদম পছন্দ নয়। কিছু ছবি মনে এমনভাবে দাগ কাটে যে, সেই ছবির অর্থোদ্ধারের লক্ষ্যে মাঝরাতে আমার ঘুম ভেঙে যায়। এমনকি সপ্তাহের পর সপ্তাহ সেই ছবি নিয়ে ভাবতে থাকি। এই ধরনের ছবি আমার অত্যন্ত পছন্দীয়।

ছবির চরিত্রাবলী : অনেকে বলে থাকেন আমার ছবির চরিত্রগুলো অস্বাভাবিক। প্রচলিত প্রথার বাইরের চরিত্র। যেমন ‘দ্য ট্র্যাভেলার’-এর ছোট্ট শিশুটি, ‘দ্য রিপোর্ট’ ছবির মি. ফিরোজ কুহি, ‘ক্লোজআপ’-এর হোসেইন সাবজাইন বা ‘থ্রু দ্য অলিভ ট্রিজ’-এর হোসেন চরিত্র। যেহেতু সমাজের সব চরিত্রকে একত্রে ক্যামেরাবন্দি করা সম্ভব নয় তাই আমাকে সমাজের বিশেষ ধরনের মানুষটিকে খুঁজে নিতে হয় বা কোনো ব্যতিক্রম পরিবেশের খুব সাধারণ মানুষ। তাদের সেই বিশেষত্ত্বটা কি? বিশেষত্ত্বটা হচ্ছে ছবির ওই বিশেষ চরিত্রের মানুষটি ঠিক আমাদের মতোই এবং আমি মনে করি এই কারণেই একজন চিত্রপরিচালক সেসব খুঁজে ছবি নির্মাণ করেন।


বাস্তব এবং বিভ্রম : বাস্তব এবং বিভ্রমের মাঝে পার্থক্যের বিষয়টি এতো জটিল এবং বিশাল যে আমি ভেবে পাই না কোত্থেকে শুরু করব। আমার কর্মক্ষেত্র এবং আমার জীবনের কতটুকু অংশ বাস্তব এবং কতটুকু অংশ কাল্পনিক, এই অভিজ্ঞতা কীভাবে আমি অর্জন করেছি তা বলতে পারব না। শুধু চিত্রপরিচালক হিসেবে নয় ব্যক্তিগত জীবনেও এই খেলাটি অর্থাৎ একবার কল্পনা থেকে বাস্তব, আবার বাস্তব থেকে কল্পনা, আবার বাস্তবে ইতস্ততভাবে ঘোরাঘুরি করে। এই বিষয়টি শুধু চিত্রপরিচালক বা বুদ্ধিজীবীদের ক্ষেত্রেই নয়, সাধারণ মানুষের মাঝেও একইভাবে অনুভূত হয়। মানব চরিত্রের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ‘স্বপ্ন দেখার যোগ্যতা অর্জন’। যদিও প্রত্যেকেই আমরা কমবেশি স্বপ্ন দেখি, কিন্তু খুব কম মানুষই স্বপ্নের কথা বলতে পারি অর্থাৎ বাস্তবায়ন করতে পারি। মানব জীবনের সব থেকে স্বতন্ত্র এবং বিশেষ অবদান হচ্ছে কল্পনা করার ক্ষমতা অর্জন করা। আমরা আমাদের অন্যান্য অনুভূতি যেমন- দেখা, শোনা এবং স্বাদ এসব ব্যাপারে অত্যন্ত সচেতন এবং কৃতজ্ঞ। কিন্তু কল্পনার মাধ্যমে কত অমেয় পরিমাণ সম্ভাবনার দ্বার খুলে যেতে পারে তা কখনো অনুধাবন করি না। স্বপ্নের কাজ কী? স্বপ্নের আগমন কোত্থেকে হয়? আমরা স্বপ্ন দেখতে সক্ষম কেন? এবং কেন অবসম্ভাবীভাবে আমরা স্বপ্ন দেখব? স্বপ্ন যদি আমাদের জীবনে কোনো কাজেই না লাগে তবে স্বপ্ন দেখার কি কারণ থাকতে পারে? তবে শেষ পর্যন্ত একটা কারণ আমি পেয়েছি। আর তা হচ্ছে- আমরা কখন স্বপ্নকে অবলম্বন করি? যখন আমরা আমাদের পারিপার্শ্বিক নিয়ে অসুখী হয়ে পড়ি এবং কত বিস্ময়করভাবে সত্য হয় যে, পৃথিবীর কোনো স্বৈরাচারও এই স্বপ্ন দেখাকে প্রতিহত করতে পারে না। পৃথিবীর কোনো আইন দিয়ে মানুষের এই কাল্পনিক অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। মানুষ তার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত স্বপ্ন দেখে যায়। শুধু ফ্যান্টাসি বা কল্পনা দিয়েই আপনি জীবনের অলঙ্ঘ দেয়াল পার করতে পারেন। সেই দেয়াল পার হবেন, আবার পেছন ফিরে চাইবেন। এই পেছন ফিরে চাওয়াটাই বাস্তবতা। অর্থাৎ আপনার স্বপ্নকে কতটুকু আপনি বাস্তবায়ন করতে পেরেছেন আর কতটুকু পারেননি। প্রকৃতপক্ষে, একমাত্র স্বপ্ন বা কল্পনাই আপনাকে আপনার কঠিন জীবন থেকে নিষ্কৃতি দিতে পারে, আপনাকে নতুন ঔজ্জ্বল্যে উদ্দীপিত করতে পারে, সেই উদ্দীপনা আপনাকে সেই স্বপের বাস্তবায়নের দিকে চালিত করে তা বাস্তবায়নযোগ্য করে তুলতে পারে। আর এভাবেই বাস্তব আর কল্পনায় আমাদের যাওয়া আর আসা চলে। কল্পনা হচ্ছে বাস্তব একটি বদ্ধঘরের জানালার মতো। মাঝে মাঝে সেই জানালা খুলবেন পরিপূর্ণ নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য। আর সিনেমা হচ্ছে আমাদের বদ্ধ বাস্তবতার সেই জানালাটি।